অকর্মণ্য বাঙালী তায় Software Engineer। প্রবাসে এরকম এক অদ্ভূত জীব যখন চায়ের টেবিলে IPL, অর্থনৈতিক মন্দা ও 'যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ'-এর চার্বাক দর্শন নিয়ে সুখী থাকতে চায়, ভগবানের বৈষম্যে তার ওপর নজর পড়ে আরেকদল লক্ষ্যহীন পরাকর্মব্যস্ত কিছু বাঙালীর, এক্ষেত্রে NABCর হোতাদের। By the way, NABC হল North American Bengali Conference (বঙ্গ সম্মেলন)। নিজেই দুদিন বাদে ভুলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকায় লিখে রাখলাম। যদিও ভুলে গেলে হাহুতাশ করতে হবে বলে মনে হয়না।
এবারের দায় বহন করেছিল প্রবাসী। Bay areaর একটি প্রাচীন বাঙালী সংগঠন। আমেরিকাতে ২৫ বছরেই ইতিহাস তৈরী হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসীকেও হয়ত ঐতিহাসিক বলা যেতে পারে বলে আমার ধারণা। এদের কোনো কোনো মহারথী চাকরী ছেড়েও NABCর কাজে প্রাণপাত করেছেন। বাঙালীর জন্য রবীন্দ্রনাথের নাইট প্রত্যাখ্যান আর এদের চাকরী ত্যাগের তুলনামূলক বিশ্লেষণ যে কোনোদিন কোনো চায়ের টেবিলের আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
একদিন জনৈক এক পরিচিতা জানালেন NABCর food trial হচ্ছে। Internetএ ভোজ ক্যাটারারের নাম দেখে রসনার হুজুগে হাজির হলাম সেই ঐতিহাসিক trialএ। খাওয়ার ঠিকাদার এক South Indian রেস্টুরেন্ট। Cookbookএ বড় বড় করে লিখে নিয়েছেন যে রান্নাতে নারকেলের বদলে পোস্ত দিলেই তা বাঙালী রান্না বলে গণ্য হবে। তাকে জানানো হয়েছে যে মাছের ঝোল বাঙালীর চাইই। অতএব একটি পাত্রে দেখা দিয়েছে cat fishএর কালিয়া। আলু পোস্ত রান্নাতে কোনো কারিগরী সমস্যা দেখা দেওয়াতে তারা রেধেছেন বিন পোস্ত। মনে প্রশ্ন জাগল - এটা তরকারী, নাকি কিছু একটা contemporary? হাঁস যেমন জল বাদ দিয়ে দুধ খায়, তেমনই যারা আগে এসেছেন তারা আলু বাদ দিয়ে কষা মাংস খেয়ে ফেলেছেন। এখন অবশ্য আত্মগ্লানিতে ভুগে বাকি আলুর দিকে না তাকিয়ে তারা মিষ্টি খাওয়াতেই ব্যস্ত।
১০ ডলার দিয়ে পেলাম একটি প্লেট। অবশিষ্ট যা ছিল তা দিয়েই মেটালাম রসনার সেই অপরিণামদর্শী হুজুগ। জানতে পারলাম ভোজ ক্যাটারার আসছে না। পেলাম হোমওয়ার্ক না করার ফল। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও যারা ভিসা পায়নি তাদেরই একজন ভোজ। সান্টা-বান্টার যুক্তিতে ভাবলাম - সবাই যদি Visa পায়, তাহলে Mastercard পাবে কে? স্বভাবতই প্রশ্ন জাগল, রান্নাটা দেখাল কে? জানতে পারলাম NABCর রান্নার হাল ধরার জন্য অন্য স্টেট থেকে উড়ে এসেছেন এক প্রসিদ্ধা রন্ধন বিশারদ। রান্নাঘরের উষ্ণতা তখনও তার পিছু ছাড়েনি। তাই সীমিত হয়েছে তার বেশবাস। তার রান্নার প্রশংসায় যাদের ওষ্ঠ প্রলম্বিত হয়েছে, তাদের কেউ ভাবছে "Trialটা না দিলে মন্দ হত না", আবার কেউ ভাবছে "আমার বউর চেয়ে তো ভালো রেধেছেন"।
সব ভাল যার শেষ ভাল। এর থেকে কি সিদ্ধান্তে আসা যায় যে যার শেষ ভাল নয়, তার সব ভাল নয়। ঝোপ বুঝে কোপটা মারা হল। করা হল volunteer হওয়ার অনুরোধ। ব্যাকগ্রাউন্ডে নিঃশব্দে ধ্বনিত হচ্ছে "খাওয়ার আমন্ত্রণ মাঙ্গনা নয়"। মাথায় ঘুরছে চক্রব্যূহ, মাথায় ঘুরছে হাজারদুয়ারি। তখন ভরা পেটে বুদ্ধিনাশ। পালানোর কোনো রাস্তাই দেখা যাচ্ছে না। ভালোমানুষির মুখোসের তলায় গদের আঠা হয়ে উঠছে ক্যাট ফিসের ঝোল। ... অতএব ফাঁদে পা !
এবারের দায় বহন করেছিল প্রবাসী। Bay areaর একটি প্রাচীন বাঙালী সংগঠন। আমেরিকাতে ২৫ বছরেই ইতিহাস তৈরী হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসীকেও হয়ত ঐতিহাসিক বলা যেতে পারে বলে আমার ধারণা। এদের কোনো কোনো মহারথী চাকরী ছেড়েও NABCর কাজে প্রাণপাত করেছেন। বাঙালীর জন্য রবীন্দ্রনাথের নাইট প্রত্যাখ্যান আর এদের চাকরী ত্যাগের তুলনামূলক বিশ্লেষণ যে কোনোদিন কোনো চায়ের টেবিলের আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
একদিন জনৈক এক পরিচিতা জানালেন NABCর food trial হচ্ছে। Internetএ ভোজ ক্যাটারারের নাম দেখে রসনার হুজুগে হাজির হলাম সেই ঐতিহাসিক trialএ। খাওয়ার ঠিকাদার এক South Indian রেস্টুরেন্ট। Cookbookএ বড় বড় করে লিখে নিয়েছেন যে রান্নাতে নারকেলের বদলে পোস্ত দিলেই তা বাঙালী রান্না বলে গণ্য হবে। তাকে জানানো হয়েছে যে মাছের ঝোল বাঙালীর চাইই। অতএব একটি পাত্রে দেখা দিয়েছে cat fishএর কালিয়া। আলু পোস্ত রান্নাতে কোনো কারিগরী সমস্যা দেখা দেওয়াতে তারা রেধেছেন বিন পোস্ত। মনে প্রশ্ন জাগল - এটা তরকারী, নাকি কিছু একটা contemporary? হাঁস যেমন জল বাদ দিয়ে দুধ খায়, তেমনই যারা আগে এসেছেন তারা আলু বাদ দিয়ে কষা মাংস খেয়ে ফেলেছেন। এখন অবশ্য আত্মগ্লানিতে ভুগে বাকি আলুর দিকে না তাকিয়ে তারা মিষ্টি খাওয়াতেই ব্যস্ত।
১০ ডলার দিয়ে পেলাম একটি প্লেট। অবশিষ্ট যা ছিল তা দিয়েই মেটালাম রসনার সেই অপরিণামদর্শী হুজুগ। জানতে পারলাম ভোজ ক্যাটারার আসছে না। পেলাম হোমওয়ার্ক না করার ফল। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও যারা ভিসা পায়নি তাদেরই একজন ভোজ। সান্টা-বান্টার যুক্তিতে ভাবলাম - সবাই যদি Visa পায়, তাহলে Mastercard পাবে কে? স্বভাবতই প্রশ্ন জাগল, রান্নাটা দেখাল কে? জানতে পারলাম NABCর রান্নার হাল ধরার জন্য অন্য স্টেট থেকে উড়ে এসেছেন এক প্রসিদ্ধা রন্ধন বিশারদ। রান্নাঘরের উষ্ণতা তখনও তার পিছু ছাড়েনি। তাই সীমিত হয়েছে তার বেশবাস। তার রান্নার প্রশংসায় যাদের ওষ্ঠ প্রলম্বিত হয়েছে, তাদের কেউ ভাবছে "Trialটা না দিলে মন্দ হত না", আবার কেউ ভাবছে "আমার বউর চেয়ে তো ভালো রেধেছেন"।
সব ভাল যার শেষ ভাল। এর থেকে কি সিদ্ধান্তে আসা যায় যে যার শেষ ভাল নয়, তার সব ভাল নয়। ঝোপ বুঝে কোপটা মারা হল। করা হল volunteer হওয়ার অনুরোধ। ব্যাকগ্রাউন্ডে নিঃশব্দে ধ্বনিত হচ্ছে "খাওয়ার আমন্ত্রণ মাঙ্গনা নয়"। মাথায় ঘুরছে চক্রব্যূহ, মাথায় ঘুরছে হাজারদুয়ারি। তখন ভরা পেটে বুদ্ধিনাশ। পালানোর কোনো রাস্তাই দেখা যাচ্ছে না। ভালোমানুষির মুখোসের তলায় গদের আঠা হয়ে উঠছে ক্যাট ফিসের ঝোল। ... অতএব ফাঁদে পা !